মোঃকবির হোসেন, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে এক নিমিষেই ধুমড়েমুচড়ে যায় নুর মোহাম্মদ পোল্ট্রি ফার্ম। শেষ হয়ে যায় পোল্ট্রি খামারি মো. সাইফুল ইসলাম রাজার স্বপ্ন। রবিবার রাত ১১টার দিকে দমকা ঝড়ো হাওয়ায় ভেঙ্গে পড়ে তার ৩ তলা বিশিষ্ট পোল্ট্রি খামারের শেডটি। চোখের সামনেই তাসের ঘরের মতো উড়ে যায় তিলতিল করে গড়ে তোলা স্বপ্ন। সে উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের ঝুরঝুরি পাড়ার নুর মোহাম্মদের ছেলে।
রাজা দীর্ঘ দিন প্রবাসে ছিলেন। দেশে ফিরে নিজেই কিছু করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। গড়ে তুলেন পোল্ট্রি খামার। মাত্র দুই তিন বছরের মধ্যে উপজেলায় পোল্ট্রি খামারি হিসেবে পরিচিতি পায় রাজা। ব্যবসা ভাল হওয়ায় কয়েটি এনজিও থেকে লোন নিয়ে গত বছর তৈরি করেন ৩ তলা বিশিষ্ট ১৭০/৩৫ ফিট লম্বা চৌচালা টিনের শেড (ঘর)। প্রতিটি তলায় ৫ হাজার করে মুরগি পালন করতেন তিনি। খামারের প্রতিদিন ৫ জন শ্রমিক কাজ করেন। কিন্তু বিধি বাম। এক মুহূর্তের ঝড়ে চুরমার হয়ে গেলো তার সবকিছু।
নুর মোহাম্মদ পোল্ট্রি ফার্মের মালিক মো. সাইফুল ইসলাম রাজা বলেন, রবিবার রাত ১১ টার দিকে কালবৈশাখী ঝড়ে মুরগির শেড তছনছ হয়ে যায়। তিনটি শেডে প্রায় ১৫ হাজার ব্রয়লার মুরগি ছিলো। বেশি ভাগ মুরগি মারা যায়। কালবৈশাখী ঝড়ে ঘর ও ব্রয়লার মুরগিসহ প্রায় কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমি এখন নিঃস্ব। আমার ডিলার (মহাজন) ও এনজিওর লোনর টাকা কি ভাবে পরিশোধ করবো।
ইউপি সদস্য মো. ময়নাল হক বলেন, গতকাল রাতের ঝড়ে নুর মোহাম্মদ পোল্ট্রি ফার্ম মালিক মো. সাইফুল ইসলাম রাজা মিয়ার প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা পানিসম্পদ কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ মালিককে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করার জন্য বলা হয়েছে। আমাদের দপ্তর থেকে কোন অনুদান দেওয়া হয় না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, নুর মোহাম্মদ পোল্ট্রি ফার্মটি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার খবর উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা জানিয়েছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার