স্টাফ রিপোর্টারঃ রাত পোহালেই নাঃগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন, দলীয় নির্দেশনা অনুসারে গঠিত হতে যাচ্ছে নাঃগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি।
ইতিমধ্যে সভাপতি পদ চুড়ান্ত হলেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী দুজন মাসুকুল ইসলাম রাজিব ও গোলাম ফারুক খোকনকে ঘিরে। চলছে মহলে মহলে বিস্তর সমীকরণ মেলানোর আলোচনা ও তুমুল বিশ্লেষণ।
জনপ্রিয়তা ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তৃনমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে ছিলেন মাসুকুল ইসলাম রাজিব।
কিন্তু এর মাঝেই গত ১৫ জুন বৃহস্পতিবার রাতে সম্মেলনের ২ দিন আগেই দলীয় প্যাডে কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক পত্রে মাসুকুল ইসলাম রাজিবকে বিএনএফের নাঃগঞ্জ জেলা কমিটিতে জড়িয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশে ফের নতুন আলোচনার সূত্রপাত ঘটে রাজিবকে নিয়ে।
এ নিয়ে নতুন করে আবার সমালোচনার শুরু হওয়ার সম্ভাবনা হয় রাজিবকে ঘিরে ।
কিন্তু সমালোচনা ও অপঃপ্রচার কোনোক্রমেই আর বাড়তে দিলেন না রাজিব। যে সংগঠন ও কমিটি নিয়ে রাজিবকে নিয়ে অপঃপ্রচার করে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে, সেই অধ্যায়ের সমাধান ও ধোয়াশা আরো এক দশক পূর্বেই করে রেখে এসেছেন রাজিব৷
প্রায় দশ বছর আগে ১ই সেপ্টেম্বর বিএনএফ ও রাজিবকে নিয়ে যে অপপ্রচার শুরু হয়েছিলো তা নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছিলো।
জেলা বিএনপির তৃনমূল নেতাকর্মীদের দাবী, একটি কূচক্রী মহল সেই এক যুগ আগে থেকেই জেলা ছাত্রদলের নেতৃত্বে থাকাকালীন সময়ে মাসুকুল ইসলাম রাজিবকে জড়িয়ে মিথ্যে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছিলো, এবং বর্তমান সময়ে জেলা বিএনপির নেতৃত্ব ঘিরেও সেই একই গোষ্ঠী আবারও নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। পূর্বের ন্যায় তারা এখনও চায় দলকে যোগ্য ও বিনয়ী নেতৃত্ব থেকে দূরে রাখতে। এ জন্যই প্রায় এক দশক পরও আবার সেই একই আইটেমের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে, তারা হয়তো এটা অবগত নয় যে, বিএনপির তৃণমূল নেতৃবৃন্দ এতটাও বোকা নয় যে, যা খুশি তাই বললেই আর প্রচার করলেই তা যাচাই বাছাই না করেই বিশ্বাস করবে।
নেতাকর্মীদের অভিমত, আগামী ১৭ই জুনই সকল অপঃপ্রচার ও প্রোপাগাণ্ডার সমাপ্তি ঘটিয়ে নাঃগঞ্জ জেলা বিএনপির কাউন্সিল সফল করা হবে।