তারেক মাহমুদ | সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ প্রাচ্যের ড্যান্ডিখ্যাত নারায়ণগঞ্জ এর রাজনীতি সবসময়ই ফোকাস থাকে সমগ্র দেশে। আওয়ামীলীগ থেকে বিএনপি উভয় দলের রাজনীতির ক্ষেত্রেই হিট পয়েন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা।
বহুল আলোচিত রাজনৈতিক অঞ্চল নারায়ণগঞ্জ জেলার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-( বিএনপি)'র জেলা সম্মেলন হতে যাচ্ছে আগামী ১৭ই জুন।
ইতিমধ্যে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ও সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপি সভাপতির পদ।
সমীকরণ চলছে সম্পাদক পদে। একদিকে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএপির আহ্বায়ক কমিটির বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব। অপরদিকে একই পদে দাপাদাপি করছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন।
সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার রাজনীতির ভেতর ও রাজনীতির বাহিরেও সমান তালে তরুণ ও তৃণমূল পর্যায়ের রাজপথ ও আন্দোলন নির্ভর নেতাকর্মীদের কাছে মাসুকুল ইসলাম রাজিব ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়।
এ ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণ, রাজিবের স্মার্ট লিডিং এক্সপেরিয়েন্স ও রাজপথ নির্ভর রাজনীতির অনুগামীতা। জেলা বিএনপির প্রায় সকল কর্মসূতিতেই রাজিবের বিশাল নেতাকর্মীর বহর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আলোচিত থাকে নাঃগঞ্জ জেলার রাজনীতিতে। ঘরে ও বাইরে সমানতালে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা,সাবলীল বক্তৃতা ও বিশ্লেষণধর্মী যুক্তিতর্কের জন্যও জেলার রাজনীতিতে বছরজুড়েই প্রায় সর্ব মহলেই আলোচিত ও প্রশংসিত থাকেন নারায়ণগঞ্জ সরকারী তোলারাম কলেজের সাবেক এই ভিপি।
এ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিকভাবে এ যাবতকালে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে প্রায় ৪০ টিরও অধিক যেখানে একই পদ প্রত্যাশী তার অপর প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম ফারুক খোকনের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা মাত্র এক জোড়া।
তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে কারাবন্দী থাকার রেকর্ডেও এগিয়ে রাজিব, এমনকি কারান্তরীন অবস্থায় কনডেম সেলেও থাকতে হয়েছিলো জেলা বিএনপির তরুণ এ নেতাকে।
পক্ষান্তরে বিগত জেলা যুবদলের কমিটিতে সম্পাদকের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে উপজেলা ও থানা যুবদল কমিটি গঠনেও ব্যাপক অভিযোগে একাধিক মহলে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন গোলাম ফারুক খোকন।
জেলা বিএনপির তৃণমূলের একাংশ নেতাকর্মীদের সূত্রমতে, জেলা বিএনপির পদে অধিষ্ঠিত হলেও তার রাজনীতি অতীতেও জেলাকেন্দ্রীক তেমনটা আলোচনায় বা ফোকাসে ছিলো না, এমনকি যুবদলের জেলার দায়িত্বে থাকাকালীন সময়েও কেবল এক থানা (রুপগঞ্জ) কেন্দ্রীক রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ততাপূর্ণ মগ্ন ছিলেন তিনি।
অপরদিকে জেলার প্রতিটা থানা-উপজেলাতেই সমান তালে পর্যাপ্ত পরিমাণে কর্মী সমর্থক সৃষ্টি করে রেখেছেন মাসুকুল ইসলাম রাজিব, যা জেলা পর্যায়ে নেতৃত্বের ক্ষেত্রে একচ্ছত্র আবশ্যিক পূর্বশর্ত।
তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতে, রাজিব যেখানে বারংবার জেলা বিএনপির নেতৃত্ব কান্সিলরগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করার জন্য আহব্বান করে যাচ্ছেন,
সেখানে এর বিপরীতে শুধুমাত্র একটি (রুপগঞ্জ)উপজেলার নেতৃত্ব নিজেদের কব্জায় নিতে যে কোনো মূল্যে সিলেকশনের মাধ্যমে পুরো জেলা বিএনপিকে বলির পাঠা বানিয়ে শিরচ্ছেদ করার জন্য লিপ্ত হয়েছে একটি বিশেষ মহল, যার পেছনে কোনো ভালো উদ্দেশ্যের গন্ধ থাকতে পারে না বলেই মনে করেন বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
এবং এটি বাস্তবায়ন হলে দলের সামগ্রীক ষোলকলা ক্ষতি ছাড়া লাভ হবে না, এতে এ জেলায় উলটো ব্যহত হবে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের চলমান চাকা।
সর্বপরি সামগ্রীকভাবে জেলা বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা আশাবাদী, সকল বিভেদ ও কুটিল চাতুরতা ভেঙে দিয়ে নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ সমর্থনের মাধ্যমে যোগ্যতার মাপকাঠিতেই নাঃগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতৃত্ব নির্ধারিত হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার