মোঃকবির হোসেন, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ প্রতিষ্ঠান বিরোধী একটি চক্র আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অপ-প্রচার চালাচ্ছে । চক্রটি দীর্ঘ দিন ধরে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যহত করতে তৎপর রয়েছে। তাদের ইচ্ছে মাফিক কাজ না করায় আমার বিরোদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন টাঙ্গাইলের নাগরপুরের ধুবড়িয়ার ছেফাতুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লাল মাহমুদ। মঙ্গলবার বিকালে বিদ্যালয় মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠান বিরোধী একটি কুচক্র মহল তাদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে না পেরে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে নানা ভাবে হয়রানি করে আসছে। ষড়যন্ত্রকারিরা বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ব্যহত করতে স্কুল ব্যাস্থাপনা কমিটির নির্বাচন স্থগিত করেছে। আমি ওই স্থগিত আদেশ প্রত্যাহারের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করায় আমার উপর এসব মিথ্যা অভিযোগ আনায়ন করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা জবা বেগমের নিকট আমি কোন প্রকার টাকা দাবি বা গ্রহণ করি নাই। এছাড়া ক্যামপাসে কিন্ডারগার্টেন ভাড়া দেয়ার বিষয়টি সম্পুণ মিথ্যা। কিন্ডারগার্টেনটি বিদ্যালয়ের কমিটি ধারা পরিচালিত হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ধুবড়িয়া ছেফাতুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সাহাবুল আলম দুলাল, মো. মিজানুর রহমান, আজাহারুল হক, মুহাম্মদ বখতিয়ার মিয়া, মো. মিন্নত আলী, মো. কাজী আলাউদ্দিন, মো.ফজলুল হক খান, বন্যা রানী, মো. জাহাঙ্গীর আলম,মো.সুজন মিয়া, সহকারী প্রধান শিক্ষক সোহেল রানা, সদস্য মো. রেজাউল করিম, মো. হাব্বিবুর রহমান, শ্যমল বিশ্বাস ও শামীম সরকার প্রমুখ।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকা মোছাঃ-জবা বেগম বলেন, গত ২৬/০৯/২০২৩খ্রি. তারিখে ধুবড়িয়া ছেফাতুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক যোগদান করি। যোগদানের পর আমার বেতনের জন্য প্রধান শিক্ষকের কিছু কাগজ দরকার হয়। কাগজ পত্র দিতে বিলম্ব করায় আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করি। পরে প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির কথায় আবেদন পত্র উত্তেলনের জন্য আবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তোলন পত্রটি গ্রহন করেনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজা মো, গোলাম মাসুম প্রধান বলেন, ধুবড়িয়া ছেফাতুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়মসহ সহকারী (বাংলা) শিক্ষিকা জবা বেগমের যোগদানের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র না দেয়ার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয় গুলো তদন্তধীন রয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার