সকালবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী ডা: সামন্ত লাল সেন বলেছেন, প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা আরো উন্নত করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা উন্নত করতে পারলে শহরে রোগীর চাপ কমে আসবে। মন্ত্রী বলেন, আমি বাংলাদেশের অনেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। দেখেছি সেখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবস্থা।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারী) সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বারদী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম পরিদর্শন ও প্রার্থনা শেষে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমি সারা জীবন অন্যায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছিলাম। এখনো আছি। স্বাস্থখাতে কোন অনিয়ম দুর্নীতি অবহেলা সহ্য করা হবে না। ডাক্তারের অবহেলায় কোন রোগীর মৃত্যু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে রোগীদেরও মাথায় রাখতে হবে কোন মৃত্যু হলে এসে হাসপাতাল ভাঙচুর করা সেটিও কাম্য নয়। কি কারনে রোগীর মৃত্যু হলো সেটিও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। যেসব হাসপাতাল ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন নেই সঠিক অবকাঠামো নেই সেগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা হবে। তবে এজন্য সময়ের প্রয়োজন।
মন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জে একটি শিল্প ঘন এলাকা, এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। আগুনে পোড়া অনেক রোগী ঢাকায় যায়। তাই নারায়ণগঞ্জের কোন একটি হাসপাতালে বার্ন ইউনিট খোলা যায় কিনা সেটি নিয়ে আমরা চিন্তা ভাবনা করছি। যে হাসপাতালে বার্ন ইউনিটি খোলা হবে সেই হাসপাতালের চিকিৎসকদের ঢাকায় বার্ন চিকিৎসা সম্পর্কে ট্রেনিং দেওয়া হবে। তারপরই ইউনিটি খোলা হবে। এছাড়া সরকার সারাদেশের প্রতিটি জেলায় বার্ন ইউনিট কেন্দ্র করার পরিকল্পনা রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বা বিশ্ব থেকে এখনো করোনা শেষ হয়ে যায়নি। তাই যারা অসুস্থ রোগী বৃদ্ধ আছেন তাদের অনুরোধ জনসভা করবো জনসমাগম বা ভিড় এড়িয়ে চলবেন। নিয়মিত মাস্ক পরিধান করবেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আমাকে বেছে নিয়েছেন। আমি কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি আমি মন্ত্রী হবো। আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, জেলা সিভিল সার্জন ডা. এএফএম মুশিউর রহমান, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সামশুল ইসলাম ভূইয়া, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা দীপন দেবনাথ, সহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ প্রমুখ।