চীফ রিপোর্টারঃ কেবলই শেষ হলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ৭ই জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন শেষ হতে না হতেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলছে প্রতিহিংসার রাজনীতি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ, প্রভাব পড়ছে রাজনৈতিক দলগুলোর উপর। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিহিংসার রাজনীতি থেমে নেই টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর সংসদীয় আসন এলাকায়। এই আসনে একাধিক প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছে মাত্র দুইজন প্রার্থী। তার মধ্যে একজন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী খান আহমেদ শুভ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ৫ বারের ইউপি চেয়ারম্যান ও ৩ বারের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু। নির্বাচনে জয়লাভ করে নৌকা মার্কার প্রার্থী খান আহমেদ শুভ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ অনেক নেতৃবৃন্দ এই সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টুকে সমর্থন জানান।নির্বাচন ৭ই জানুয়ারি রবিবার শেষ হলে জয়লাভ করেন নৌকা প্রার্থী খান আহমেদ শুভ।
বুধবার (১৭ই জানুয়ারি) দুপুর ১২:৩০ মিনিটে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী নজরুল ইসলাম (৪১) পিতা: জমির দেওয়ান নামের এক ব্যাবসায়ীর উপর হামলা করেছেন।এতে তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলে জানা যায়।
এই ঘটনায় মির্জাপুর থানায় ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মোট ৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ অনুসারে জানা যায়, হামলাকারীরা লাঠি-সোঠা হাতে নিয়ে এই হামলা চালায়। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। এতে উপজেলার নেতৃবৃন্দদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা বলেন, এমন জঘন্যতম কাজ করা মোটেও ঠিক হয়নি। নির্বাচন যেকেউ যেকারোটা করতে পারে এটা তাদের ব্যাক্তিগত ব্যাপার।
পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু বলেন, এর আগেও আমার ৬-৭ জন কর্মীকে মারধর করেছে। আমার বাড়িতেও ওরা হামলা করেছে। নির্বাচন যে কেউ যে কারোটা করতে পারে। আমি এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।তদন্ত সাপেক্ষ আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার