সকালবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ সোনারগাঁয়ে স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রী সালমা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যার পর পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী রূপচাঁনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে উপজেলার সোনারগাঁ গ্রামের শহীদ কমিশনারের পুকুর থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সালমা তাজপুর গ্রামের মৃত সালাউদ্দিন মিয়ার মেয়ে। তাদের সংসারে আব্দুল্লাহ আরবান কায়িফ (১৮) এবং খাদিজা আক্তার (৮) নামে দুটি সন্তান রয়েছে।
নিহতের ছেলে আব্দুল্লাহ আরবান কায়িফ জানান, বাবা এক নারীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ায় জরিয়ে পরে। এতে বাধা দিলে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া ও মাকে মারধর করতো বাবা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এনিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে ২ শ মিটার দূরে মায়ের লাশ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে নিহতের বড় ভাই কণ্ঠশিল্পী রিপন খান জানান, ২০০৫ সালে আমার বোনের ভট্টপুর গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে রূপচাঁনের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। একটি গার্মেন্টস কারখানায় কাজ করার সুবাধে সে গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন মেয়ের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পরে। বাধা দিলে প্রায়ই আমার বোনকে শারিরিকভাবে নির্যাতন করত। গতকাল তারই জের ধরে রাতে আমার বোনের সাথে ঝগড়া হয়। আজ সকালে পুকুর থেকে আমার বোনের লাশ উদ্ধার করে। আমি এ হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন মিয়া জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামীকে আটক করা হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার