সোনারগাঁ (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সোনারগাঁয়ে একই পরিবারের ৩ জনকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের রিরুদ্ধে। আহত তিনজনকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত তাহের মোল্লার মেয়ে তাসলিমা বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে তাসলিমা উল্লেখ করেন, সোনারগাঁ উপজেলার চরকিশোরগঞ্জ গ্রামে তার বাবা তাহের মোল্লার সাথে একই এলাকার হামিদ মিয়ার সাথে ১০ শতাংশ কৃষি জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত রবিবার সকালে তাহের মোল্লা জমিতে গেলে হামিদ মিয়া বাঁধা প্রদান করেন। নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক বির্তকের জেরে পরের দিন সোমবার সকালে হামিদ মিয়া তার ছেলে পিয়ার হোসেন, মালেক, সরাফতউল্লাহ, ইমান আলী হামিদের মেয়ে রোকসানা, সখিনা, রোজিনা ও স্ত্রী রোকিয়া পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাহের মোল্লার বাড়িতে ডুকে তাহের মোল্লা তার স্ত্রী রূপী বেগম ও প্রতিবন্ধি মেয়ে হালিমা বেগমকে একা পেয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। এ সময় তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে মারাত্নক আহতদের উদ্ধার করে আশংকাজনক অবস্থায় মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে প্রথমে মিমাংশার কথা বলে আহতদের মামলা করতে বাঁধা প্রদান করা হয়। পরে স্থানীয়ভাবে মীমাংশা না হওয়ায় আহত তাহের মোল্লার মেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে বাদি হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আহত তাহের মোল্লার মেয়ে তাসলিমা জানান, তাদের সাথে হামিদ মিয়ার সাথে ৬০ শতাংশ জমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। কিছু দিন আগে এলাকার লোকজন বিষয়টি মিমাংশ করে তাহের মোল্লাকে ১০ শতাংশ বুঝিয়ে দেয়। সেই জমিতে তাহের মোল্লা চাষাবাদ করতে গেলে হামিদ মিয়াসহ তার ছেলেরা বাঁধা দেয়। পরে তারা সেখান থেকে ফিরে আসলে পরের দিন সকালে তার বাবা-মা ও প্রতিবন্ধি বোনকে কুপিয়ে জখম করে হামিদ ও তার ছেলে মেয়েরা।
এ ব্যাপারে হামিদ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদকের মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেননি।
হামলার বিষয়টি স্বীকার করে সোনারগাঁ থানা পুলিশ জানান, এ বিষয়ে দুই পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছেন আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার