সকালবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় সাভার থেকে আসামী হয়েছেন বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেন। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে উদ্ভবগঞ্জ এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি করেন। ইকবাল হোসেন মোগরাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ—সভাপতি। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতি করার কারনে তিনি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের হামলা মামলা ও অত্যাচারের ভয়ে সাভার এলাকায় বসবাস করছেন। সেখানে বসবাস করেও তাকে এ হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, শাহাজাদা স্বাধীন ও জামাল হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইকবাল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জাইদেরগাঁও গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা জসীমউদ্দিন ও তার ছেলে সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় মিথ্যা মামলা, হামলা করে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এতে আমরা মানসিকভাবে বিপর্যন্ত হয়ে এলাকা ছেড়ে সাভার এলাকায় বসবাস শুরু করি। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সনমান্দি ইউনিয়নের জাইদেরগাঁও
গ্রামের জসীমউদ্দিনের ছেলে আব্দুল হালিম রাতের বেলায় ফুর্তি করার জন্য দুজন নারী নিয়ে বাড়িতে যায়। এসময় ছোট ভাই শেখ ফরিদ এতে বাঁধা দেয়। এতে রামদা ও চাপাতি নিয়ে এসে অন্যের ওপর আক্রমন করে। এসময় দুজন আহত হয়। এ বিষয়টি ভিন্ন খাতে নিতে আমাদের ফাঁসানের জন্য প্রতিপক্ষ বিল্লালের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরসৌস রিমু বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলার আবেদন করে। ওই মামলায় তাকে ২ নম্বর আসামী করা হয়। তিনি সাভার ছিলেন। মোবাইল নেটওয়ার্ক খতিয়ে দেখলেই ওই সময় আমার অবস্থায় কোথায় ছিল তা পরিস্কার হওয়া যাবে। এ মামলায় যাদের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে এ ঘটনার সঙ্গে কেউ জড়িত না বলে দাবি করেন।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতা জসীমউদ্দিনের সঙ্গে তাদের শত্রুতা চলছে। এ শত্রুতাকে কাজে লাগিয়ে আরো মামলা দেওয়ার ফন্দি আটছেন। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মামলা গ্রহন করার জন্য থানা পুলিশকে অনুরোধ করেন। তিনি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মো. মহসিন বলেন, দুই ভাই আহত হওয়ার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে সঠিক প্রমাণ সাপেক্ষে মামলা গ্রহন করবে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার