তারেক মাহমুদঃ গতকাল মঙ্গলবার ২৪ শে ডিসেম্বর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত প্রেস রিলিজে কেন্দ্রীয় নির্দেশে ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি। সদ্য বিলুপ্ত জেলা কমিটিতে সভাপতি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন গোলাম ফারুক খোকন। এর আগে গত বছর ২০২৩ সালের ১৭ই জুন জেলা বিএনপির সম্মেলনের মাধ্যমে তারা নেতৃত্বে আসেন। নেতৃত্বে আসার পর জেলা বিএনপির কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারেন নি তারা, এর মধ্যেই বিভিন্ন অভিযোগে তদন্ত কমিটির সুপারিশে কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে গতকাল।
এবং দ্রুতই কেন্দ্র থেকে নতুন জেলা কমিটি দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
এর মাঝেই চলছে নতুন কমিটির জল্পনা কল্পনা নিয়ে জেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের মধ্যে তুমুল চুলচেরা বিশ্লেষণ ও আলোচনা। পূর্বের নেতৃত্ব ঘিরে যেমন রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, তেমনি আগামী নেতৃত্ব নিয়েও চলছে নেতা কর্মীদের আশা আকাঙ্ক্ষার মিশ্র অভিব্যক্তি।
তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে সম্পাদক হিসেবে অভীন্নভাবে বারবার উঠে আসছে তোলারাম কলেজের সাবেক ভিপি মাসুকুল ইসলাম রাজিবের নাম। অভিজ্ঞতার ঝুলিতে আগে থেকেই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে মেধাভিত্তিক নেতৃত্ব দিয়ে জেলা বিএনপিতে নিজেকে মেলে ধরেছেন রাজিব৷
ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক। এছাড়াও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বও বেশ চৌকসভাবে পালন করেছেন ইতিপূর্বে। সর্বশেষ জেলা বিএনপির সম্মেলনে গঠিত কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় থেকেও দলীয় ঐক্যবদ্ধতা তৈরীর জন্য সেটি থেকে স্বেচ্ছায় সড়ে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছ থেকেও পেয়েছেন ভূয়সী প্রসংসা।
গতকাল জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্তির পর সমস্ত জেলাজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন মাসুকুল ইসলাম রাজিব।
নাঃগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের তালিকায় সম্পাদক হিসেবে অভীন্নভাবে ঘুরেফিরে রাজিবকেই আলোচনায় তুলে ধরছে।
নেতাকর্মীদের মতে, যুগের সাথে তাল মেলাতে ও ঢাকার টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে নাঃগঞ্জের রাজনৈতিক নেতৃত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এক্ষেত্রে তরুণ নেতৃত্বনির্ভর কমিটি গঠন করা এখন সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন। আর সেই ক্ষেত্রে সম্পাদক হিসেবে অভিজ্ঞতা মেধা ও যোগ্যতায় মাসুকুল ইসলাম রাজিব বিকল্পহীন ও অনিবার্য নেতৃত্বে পরিণত হয়েছে।
অনেক নেতাকর্মীর ভাষ্যমতে মাসুকুল ইসলাম রাজিব জেলা বিএনপির দায়িত্বে প্রবর্তিত হলে জেলা বিএনপির গ্রুপিং অবসান ও নেতাকর্মীদের শ্রমকে সঠিক মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে, এবং এটি হবে সবচেয়ে যুগান্তকারী একটি অর্থবহ তারুণ্য নির্ভর কমিটি।