সকালবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগ উঠেছে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির মৎস বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা মৎসজীবি দলের সাবেক সভাপতি সানাউল্লাহ প্রধান এর বিরুদ্ধে। এলাকায় মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করতে বিএনপির পদ পদবী ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের কাছে আতংকের নাম হয়ে উঠেছে সানাউল্লাহ প্রধান।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (৭ মার্চ) তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চরকামালদী গ্রামের আবু বক্কর কে মারপিট করতে যায় অভিযুক্ত সানাউল্লাহ প্রধান, ফারুক, হাসান, কাদির ও রিফাত। আবু বক্কর কে বাঁচাতে তার চাচাতো ভাই হযরত আলী এগিয়ে এলে তাকেও এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে সানাউল্লাহ প্রধান রা। আহত হযরত আলী কে এলাকাবাসী উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চরকামালদী গ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী জাকিরের সাথে মিলে রমরমা ইয়াবার ব্যবসা করে আসছে এই সানাউল্লাহ প্রধান। জুলাই বিপ্লব এর পরে বিএনপির পদ পদবী ব্যবহার করে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চৌড়াপাড়া পাঁচআনি পাড়া গ্রামের রহিম মিয়ার বাড়ি থেকে স্বর্নালংকার, নগদ অর্থ ও গরু লুটপাট করে নিয়ে আসে সানাউল্লাহ ও জাতীয় পার্টির নেতা ওয়াজকুরুনী।
অনুসন্ধানে জানা যায়, চরকামালদী গ্রামের সুজিত কুমার সাহার জমিতে মাছের খামারের নাম করে মাদক, নারী নিয়ে পতিতা ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, সানাউল্লাহ প্রধান এক সময় রাস্তায় গাছ ফেলে গাড়িতে ডাকাতি করতো, উপজেলার শান্তির বাজার এলাকায় ভুয়া ডিভির পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হয় সানাউল্লাহ প্রধান৷
এবিষয়ে জানতে সানাউল্লাহ প্রধান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সেখানে বিচার করতে গেছি, হামলার সাথে আমি সরাসরি জড়িত না।
এবিষয়ে সোনারগাঁ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বলেন, ঘটনা শুনে আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটি রেজাল্ট দেওয়ার পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিবো।
এবিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল বারী জানান, মারামারির ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার