সকালবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ ব্রাজিল-পেরুর ম্যাচ নিয়ে আগে থেকে বাড়তি উত্তেজনা কাজ করছিল দুদলের সমর্থকদের মধ্যে। কোপা আমেরিকার গত আসরের রানার্সআপের মুখোমুখি হয়ে ব্রাজিলের ছন্দপতন ঘটে কিনা সেই শঙ্কা ভর করেছিল।
সে আশায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার সমর্থকরাও টিভি সেটের সামনে বসেছিল। কিন্তু না, বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকে যে উড়ছে সেলেসাওরা, তাদের মাটিতে নামাতে পারেনি শক্তিশালী দল পেরুও।
রিও ডি জেনেইরোর নিল্তন সান্তোস স্টেডিয়ামে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে পেরুকে একরকম উড়িয়ে দিলেন তিতের শিষ্যরা।
শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে পেল টানা দ্বিতীয় জয়। পেরুর জালে এক হালি গোল জড়িয়েছে ব্রাজিল। সুরক্ষিত রেখেছে নিজেদের জাল।
প্রথম ম্যাচে ভেনিজুয়েলার বিপক্ষেও গোল হজম করেনি ব্রাজিল। ৩-০ গোলে ভেনিজুয়েলাকে বিধ্বস্ত করেছিল। এবার পেরুকে করল ৪-০ তে।
৪ গোলের মধ্যে একটি করে গোল পেয়েছেন নেইমার, সারেন সান্দ্রো, এভেরতন রিভেইরো ও রিশার্লিসন।
প্রথমার্ধে অবশ্য একটি গোল হয়, বাকি ৩ গোলের দেখা মেলে দ্বিতীয়ার্ধে।
দশম মিনিটে এভেরতনের ক্রস বিপদমুক্ত করতে পারেনি পেরুর ডিফেন্স। বল পেয়ে যান গাব্রিয়েল জেসুস। এই ফরোয়ার্ডের কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ ভলিতে বাকি কাজটা সারেন সান্দ্রো। দেশের হয়ে এটি তার দ্বিতীয় গোল।
২৫তম মিনিটে ব্যবধান প্রায় দ্বিগুণ করতে পারতেন ফাবিনিয়ো। ডি বক্সের বাইরে থেকে একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি তার বুলেট গতির শট।
গোল শোধে মরিয়া হতে দেখা যায় পেরুকে। ব্রাজিলের ডি-বক্সে কয়েকবার হানাও দেন পেরুর স্ট্রাইকাররা। কিন্তু তাদের সব আক্রমণ রুখে দেন সেলেকাওদের ডিফেন্ডাররা।
৩৯তম মিনিটে সমতায় ফিরতে পারত পেরু। কিন্তু কর্নারের বিনিময়ে পেরুর একটি চেষ্টা ঠেকিয়ে দেন ব্রাজিলের দানিলো।
আক্রমণ-পাল্টাআক্রমণের মধ্যেই প্রথমার্ধ শেষ বলে বাঁশিতে ফু দেন রেফারি পাত্রিসিও রুস্তাও।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও খেলা জমে ওঠে। চলে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই। ৬০তম মিনিটে ব্রাজিলের পক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
কিন্তু ভিএআরের সাহায্যে নেইমারের নাটক ধরা পড়ে। রেনাতোর মৃদু টোকাতেই পড়ে গিয়েছিলেন বল পায়ে পেরুর ডি বক্সে ঢুকে পড়া নেইমার। বাতিল হয় সেই পেনাল্টি।
তবে নেইমার ঠিকই গোল আদায় করে নেন। ৬৮তম মিনিটে ফ্রেদের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে আড়াআড়ি জাল খুঁজে নেন ব্রাজিলের পোস্টার বয়।
ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের ছোঁয়া পাননি পেরুর গোলরক্ষক পেদ্রো। দেশের হয়ে এটি নেইমারের ৬৮তম গোল।
নেইমারের শট রুখতে না পারলেও পরবর্তী ১৫ মিনিট দারুণ কিপিং করেন পেদ্রো।
৭৩তম মিনিটে রিশার্লিসনের শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। ৮৪তম মিনিটে নেইমারের ফ্রি-কিকও জালের দেখা পায়নি।
৮৭তম মিনিটে রবের্ত ফিরমিনোর দারুণ এক শট ঠেকিয়ে দেন পেরুভিয়ান গোলরক্ষক।
তবে ৮৯তম মিনিটে এভেরতন রিভেইরোরের খুব কাছ থেকে নেওয়া শট আর ঠেকাতে পারেননি পেদ্রো।
দেশের হয়ে প্রথম গোল করেন রিভেইরোর। ৩-০ খেলা শেষ হচ্ছে যখন ভাবছিলেন দর্শকরা, তখন ব্যবধান আরও বাড়ান রিশার্লিসন।
যোগ করা সময়ে ফিরমিনোর শট গোলরক্ষক পা দিয়ে ফিরিয়ে দিলে বল পান এভাটনের এ ফরোয়ার্ড। তার প্রথম শটও ফিরিয়ে দেন পেরুর এক খেলোয়াড়। ফিরতি বল জালে পাঠান রিশার্লিসন।
রেফারির শেষ বাঁশিতে ৪-০ গোলের ব্যবধানে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।