কে এম শহীদুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাধীন কালিপুর-ডলুরা এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে সন্ত্রাসীদের দেশীয় দাড়ালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন সাবেক ইউপি সদস্যসহ ও তার পরিবারের সদস্যরা। আহতদের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক ইউপি সদস্য করম আলী(৬২), তার ছেলে জহুর মিয়া(৩৮) এবং ফারুক মিয়া(৩৫)। আহতদের মধ্যে তিন জনই আশংঙ্কা জনক অবস্থায় রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার বিকালে সলুকাবাদ ইউনিয়নের কালিপুর-ডলুরা এলাকায় রশিদ আলীর বাড়ির সামনে। এ ঘটনায় বিশ্বম্ভরপুর থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।
অন্য দিকে হামলার ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে ভিন্নখাতে পরিনত করতে কৌশল অবলম্বন করছেন হামলাকারী মুজিবুর রহমান গংরা। তারা গনমাধ্যম কর্মীদের ভুল তথ্যদিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন ইতি মধ্যে এমনটিও যানা যায়। ঘটনার সপ্তাহ খানেক হয়ে গেলেও এখনও কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে আসামীরা। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে আহত অবস্থায় কাতর ব্যক্তিদের সাথে আলাপ করলে এমনটি যানা যায়।
সরেজমিনে এলাকায় ঘুরে এবং গ্রামবাসীর সাথে আলাপ করে ক্যামেরায় উঠে আসে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র চিত্র। ক্যামেরায় বার বার উঠে আসে হামলাকারী চার ব্যাক্তির নাম। একই এলাকার বাসিন্দা সামাদ মোড়লের ছেলে আতাউর রহমান, মজিবুর রহমান, হাবিবুর রহমান ও মতিউর রহমানসহ অজ্ঞাত নামা আরও কয়েকজন মিলে দেশীও অস্ত্র লাঠি সুঠা, রামদা, ও লোহার রড হাতে নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে সাবেক ইউপি সদস্য করম আলী ও তার দুই ছেলে উপর পরিকল্পিত হামলা চালায়।
এসময় গুরুতর রক্তাক্ত আহত হন পিতা ও দুই পুত্র। আহতদের চিৎকারে এলাকার লোকজন ছোটে এলে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে আহতদের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে আহত ব্যাক্তিরা ন্যায় বিচারের জন্য হাসপাতালে কাতর অবস্থায় প্রশাসনের প্রতি জোরদাবী জানিয়েছেন।
এব্যাপারে হামলাকারী মুজিবুর ও তার ভাইদের সাথে জানতে চাইলে তারা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি এবং প্রতিবেদককে নিউজ না করার জন্য অনুরোধ করেন এবং কিছু টাকা দেওয়ার কথা বলেন।
এব্যাপারে বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তবে গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন দু-পক্ষের লোকজন থানা অভিযোগ দিয়েছেন সাবেক ইউপি সদস্যদের উপর যারা হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে একটির মামলা রুজু হয়েছে অন্যটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।