সাগর বাদশা, ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার মনপুরায় ইউপি নির্বাচনে ১নং মনপুরা ইউনিয়নে আ’লীগের প্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে আ’লীগের দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে বহিরাগত ক্যাডাররা অবস্থান করায় স্থানীয় ১০ হাজার বাসিন্দারা ভয়ে আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
যেকোন সময় ফের ভাংচুর ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন সচেতন বাসিন্দারা। তবে এই ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম মিঞাকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই ইউনিয়নে সকল প্রকার জনসমাবেশ, মিছিল ও শোডাউন নিষিদ্ধ করেছেন। এছাড়াও যেকোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও। প্রয়োজনে ১৪৪ ধারা জারি করা হবে বলে জানান তিনি। এদিকে সোমবার বিকেলে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে অবজ্ঞা করে সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন সমর্থীত বহিরাগত লোকজন শোডাউন দিলে এলাকায় অতাংক ছড়িয়ে পড়ে।
পরে ওই দিন (সোমবার) রাতেই মনপুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বহিরগতরা অবস্থান করছে এবং ভাংচুর ও আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটতে পারে বলে আশংকা করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দরখাস্ত করেছেন উপজেলার ১ নং মনপুরা ইউনিয়নের বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান টিটু ভূঁইয়া।
মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ১নং মনপুরা ইউনিয়নের তুলাতলী, নতুন রামনেওয়াজ বাজার ও মাছ ঘাট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হাট-বাজারে সাধারন মানুষের উপস্থিতি নেই বললে চলে। যেন চাপা আতংক বিরাজ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রমিজ, কামাল, শাহেদ, চায়ের দোকানদার বাছেদ ও রাজিবসহ অনেকে জানান, সারা রাত ঘুমাতে পারেনি। কিছুক্ষণ পর পর খবর পাই স্পীডবোট করে কলাতলী ও হাতিয়া থেকে আলাউদ্দিন চেয়ারম্যান লোকজন আনছে। ফের জানি কি ঘটে। তাছাড়া আতংকে কেউ বাজারে না আসায় বেচা-বিক্রি নেই।
এ ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ ট্রেনিং এ থাকায় ভারপাপ্ত ওসির দায়িত্বে থাকা এস. আই লুৎফুর রহমান জানান, মনপুরা ইউনিয়নে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ সর্তক অবস্থানে রয়েছে।