
গতকাল ১৯ ফেব্রুয়ারি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রদলের এক কর্মীর ব্যাগে ধারালো অস্ত্র পাওয়া গেছে বলে যে খবর প্রচারিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হচ্ছে। ছাত্রদলের দাবি, অভিযুক্ত ছাত্রকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানোর জন্য একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘটনার সময় ছাত্রদলের কর্মী মো. মোস্তাফিজুর ইসলাম ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু তার ব্যাগে অস্ত্র থাকার কোনো সত্যতা নেই। বরং, পূর্বপরিকল্পিতভাবে একটি ভিডিও তৈরি করে এবং তাকে ফাঁসানোর জন্য বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ছাত্রদলের নেতারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সুস্থ ও নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে প্রশাসনের উচিত নিরপেক্ষ তদন্ত করা এবং প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি যা অভিযুক্ত ছাত্রদলের কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। তবে, বিষয়টি আরও গভীরভাবে তদন্ত করা হবে বলে প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল আরও অভিযোগ করেছে যে, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগের যথাযথ তদন্ত করা হয় এবং কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী অন্যায়ভাবে হয়রানির শিকার না হয়।
ছাত্রদলের সভাপতি সৌমিক আহমেদ অরন্য এবং সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক ফেরদৌস এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই, এই ঘটনায় নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত করা হোক এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। ছাত্রদল কোনো ধরনের সহিংসতা সমর্থন করে না এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, ছাত্রদলের নেতারা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, যদি তাদের কোনো কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা বা অন্যায়মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে তারা কঠোর আন্দোলনে যাবে।