মিমরাজ:
দেড় লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে নকল স্বর্ণের গহনা নিয়ে বিয়ে করতে এসে গণপিটুনি খেয়ে বিয়ের আসর থেকে পালিয়েছেন প্রতারক বর মো. হৃদয় মিয়া(২০)। শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের নয়মাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে বিয়ে পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর সালিশ বৈঠকে বরপক্ষকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে গ্রাম্য মাতব্বরা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নয়ামাটি এলাকার আলম মিয়ার কন্যা ইতি আক্তাতের (১৮) সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের তাজপুর এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে হৃদয়ের বিয়ে ঠিক হয়। বিয়েতে কন্যাকে ৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার দেওয়ার কথা বলে কনেপক্ষ থেকে নগদ দেড় লাখ টাকা যৌতুক হিসাবে হাতিয়ে নেয় বরপক্ষ। এরপর শুক্রবার বিয়েতে বরপক্ষের লোকজনদের খাওয়া-দাওয়া শেষে বিয়ের কাবিন করতে কাজীর কাছে উপস্থিত হয়। বিয়ে পড়ানোর মুহূর্তে স্বর্ণালংকার দেখতে চান কনেপক্ষের আত্মীয়-স্বজনরা। বিয়ের শর্ত মোতাবেক ৪ ভরি স্বর্ণের গহনা বের করে দেন বরপক্ষের লোকজন। তবে গহনা নকল বলে চিহিৃত করেন কনের আত্মীয়-স্বজনরা। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরবর্তীতে স্বর্ণকারের কাছে গিয়ে স্বর্ণ পরীক্ষা করলে সবগুলো গহনা নকল এবং স্বর্ণের তৈরি না বলে জানিয়ে দেয় স্বর্ণকার। পরে এলাকাবাসী ও কনের আত্মীয়-স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে উঠে বর এবং ঘটককে গণপিটুনি দিয়ে বিয়ে পণ্ড করে দেয়।
এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিয়ে বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়। স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকে বসে উভয় পক্ষের গ্রাম্য মাতবরা। সালিশ বৈঠকে উভয়পক্ষের মধ্যেকার অভ্যন্তরীণ সকল দেনা-পাওনা কনেপক্ষের ক্ষতিপূরণ বাবদ বরপক্ষকে আগামী ৪০ দিনের মধ্যে দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সালিশ বৈঠকের পর রাতে বর হৃদয় বউকে না নিয়ে একা বাড়ি ফিরে যায়। এ ঘটনায় মুছাপুর ও ধামগড় দুই ইউনিয়নবাসীসহ উপজেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।