মিমরাজ হোসেন রাহুলঃ
নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুরের রাজাদী গ্রামে ৩য় শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। রবিবার(১২ জানুয়ারি) রাতে রাজাদী গ্রামে একটি কলা ক্ষেতে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সে স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেনের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী। এই ধর্ষণের ঘটনায় রাতেই ধর্ষক আলামিনকে আটক করেছে পুলিশ। ধর্ষক আলামিন পলাশ উপজেলার মাঝেরচরের মৃত. আবুল হোসেনের ছেলে। ধর্ষণের শিকার হওয়া ছাত্রী ও তার স্বজনরা জানান, রবিবার সন্ধ্যার দিকে পার্শ্ববর্তী কালীর বাজারে পিঠা কিনতে যাওয়ার পথে বাজারের এক কলা ব্যবসায়ী ছাত্রীটিকে মুখ চেপে ধরে কলাক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে গামছা দিয়ে মুখ বেধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় ছাত্রীটির আত্মচিৎকারে তাকে সেখানে ফেলে রেখে ধর্ষণকারী পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ওই ছাত্রীটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করছেন। এই ঘটনায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে ছাত্রীটির সাথে কথা বলেছে পুলিশ। পরে রাত ২টার দিকে পলাশ উপজেলার মাঝেরচর নিজ বাড়ি থেকে ধর্ষক আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নরসিংদী মডেল থানায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা করেছে।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, প্রাথমিক অবস্থায় ছাত্রীটিকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। অবস্থা গুরত্বর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান নরসিংদী প্রতিদিনকে বলেন, ঘটনার পরপরই ভিকটিমের কাছ থেকে সব ঘটনা জানি। পরে রাতেই বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা অভিযান চালিয়ে ধর্ষক আলামিনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। লম্পট ধর্ষক আল আমিনকে গতকাল সোমাবার আদালতে প্রেরণ করা হয়।