স্টাফ রিপোর্টার ॥ যতই সময় যাচ্ছে ততই ঘনিয়ে আসছে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। মেঘা এই শহরের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন সর্বত্রই বইছে ভোটের হাওয়া। এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসসহ দলীয় মনোনীত সকল প্রার্থীদের জেতাতে দিন-রাত এক করে গনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন।
তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে রিপনের নেতৃত্বাধীন মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগ। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগ। যেখানে সেবকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুসহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে ২৪ ঘণ্টা কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কামরুল হাসান। সেই কথা যেন এখন অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন সেবক লীগ দক্ষিণের সভাপতি।
নির্বাচনের আগে নিজের কার্যক্রম প্রসঙ্গে রিপন বলেন, ‘সকাল ১০টা থেকেই নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হয়ে যায় আমার। গভীর রাত পর্যন্ত চালিয়ে যাই। এই সময়ে বিভিন্ন থানা এবং ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করি। সভা শেষে প্রতিটি ওয়ার্ডের অলি-গলির দোকান-পাটের লোকজনসহ মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে শেখ হাসিনার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরছি। নৌকা মার্কাসহ দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এসময় আরও বলেন, ‘প্রতিটি থানা থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যন্ত আমাদের স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি রয়েছে। তাদের কার্যক্রম মনিটরিং করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নগরের নেতৃবৃন্দকে। ফজলে নূর তাপসকে মনোনীত করার ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে আমরাই প্রথম এই কমিটি করে বই আকারে তাপসের কাছে হস্তান্তর করি।
যা আমাদের দক্ষ সাংগঠনিক কার্যক্রমেরই বহিঃপ্রকাশ। তিনি আমাদের এমন কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। নির্বাচনে আমাদের প্রতিটি নেতা-কর্মী পরিশ্রম করছে। আমি নিজেও রাত জেগে নিয়মিত কাজ করছি। প্রকৃতপক্ষে আমি কথায় নয় বরং কাজে বিশ্বাসী। নির্বাচনের শেষ দিন পর্যন্ত কাজ করে যাবো।’
গত বছর শুদ্ধি অভিযানের পর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্বে আসেন কামরুল হাসান রিপন। তার আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি পদেও অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তাছাড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন কামরুল হাসান। প্রায় তিন দশক রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন রিপনের সুদক্ষ নেতৃত্ব এবং কৌশলগত দক্ষতায় সেবক লীগ দক্ষিণও এগিয়ে চলছে দুর্বার গতিতে। কামরুল হাসান জানান, সেবকলীগকে মহানগর দক্ষিণে আওয়ামীলীগের এক নম্বর সহযোগী সংগঠনে পরিণত করতে চান তিনি। সেই লক্ষ্যেই দিন-রাত কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক এই সিনিয়র সহ-সভাপতি।
তবে এই মুহুর্তে সিটি নির্বাচন নিয়েই পুরোদুস্তুর ব্যস্ত কামরুল হাসান। কেননা, আর মাত্র ৮দিন পরই পরই অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ভোট। এই নির্বাচন নিয়ে সরকারও বেশ সতর্ক। নির্বাচনী আচরণ বিধি থেকে শুরু করে প্রচার-প্রচারণা সর্বত্র সতর্কতার সঙ্গে পা ফেলছে দলটি। নেতাকর্মীদেরও সেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল একযোগে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সময়ে সাঈদ খোকন দক্ষিণের এবং আনিসুল হক উত্তরের মেয়র নির্বাচিত হন। আনিসুল হক মারা গেলে উপনির্বাচন হয়েছিল গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি। ওই নির্বাচনে মো. আতিকুল ইসলাম মেয়র নির্বাচিত হন।