সান্ধ্য কোর্স বন্ধ হলে ছাত্র-শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডীন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম। সান্ধ্য কোর্সের যৌক্তিকতা যাচাইয়ে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
জানা যায়, গত বছরের মে মাসে পাঁচজন ডিনের সমন্বয়ে সান্ধ্য কোর্সের যৌক্তিকতা যাচাইয়ে কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটির আহ্বায়ক করা হয় বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমদ চৌধুরীকে। অন্য সদস্যরা হলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. হাসানুজ্জামান।
সম্প্রতি সান্ধ্যকালীন প্রোগ্রাম বিষয়ে প্রণীত প্রতিবেদন উপাচার্যের কাছে জমা দিয়েছে যৌক্তিকতা যাচাই কমিটি। ওই প্রতিবেদনে সান্ধ্যকালীন প্রোগ্রাম সাময়িকভাবে বন্ধের সুপারিশ করা হয়। সান্ধ্য কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি সাময়িক বন্ধের বিষয়ে কমিটির আহ্বায়কসহ চারজন সদস্য একমত পোষণ করলেও ভিন্নমত দেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডীন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম। তাঁর বক্তব্য প্রতিবেদনে আলাদা করে উদ্ধৃত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সাময়িকভাবে স্থগিতের সুপারিশের বিষয়ে কমিটির সদস্য ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডীন ভিন্ন দৃষ্টি পোষণ করেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ না করে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হোক। পরবর্তীতে সে নীতিমালার আলোকে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। তবে নীতিমালা প্রণয়ন পর্যন্ত প্রোগ্রামসমূহ স্থগিত করা হলে ছাত্র-শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।