সোনারগাঁ কে লকডাউন করতে প্রধানমন্ত্রী কাছে আবেদন জানিয়েছেন সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নারায়নগঞ্জের মেয়র আইভি রহমানের পর সোনারগাঁয়ের লক ডাউন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন সোনারগাঁয়ের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। লিয়াকত হোসেন খোকা তাঁর ফেসবুকে আইডিতে এ সংক্রান্ত একটি আবেদন পোষ্ট করেছেন।
আইডিতে তিনি লিখেন গত ১৮ মার্চ থেকেই আমি সোনারগাঁয়ের প্রতিটি এলাকা সকাল থেকে রাত প্রায় ২টা অবধি চষে বেড়িয়েছি। সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ, বার বার মাইকিংসহ সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করার পরেও দেখতে পাচ্ছি অনেকে বাইরে বের হন। সোনারগাঁয়ের জনপ্রতিনিধি, সোনারগাঁয়ে নিয়োজিত সেনা বাহিনী, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, সাংবাদিকসহ সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিভিন্ন উপায়ে মানুষদেরকে বুঝানোর পরও অনেক এলাকাতে এখনো লোকজন জড়ো হয়। এছাড়াও বর্তমাণে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী খোলা নিয়ে সোনারগাঁয়ে অসংখ্য নতুন মানুষের আগমণে আমরা সোনারগাঁবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। সোনারগাঁয়ে ক্রমশ করোনা ছড়িয়ে পড়ার আগেই এটাকে রোধ করার লক্ষ্যে যতদ্রুত সম্ভব পুরো সোনারগাঁকে লকডাউনের আওতায় আনার জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমীপে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি। নিচে
লিয়াকত হোসেন খোকার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল:
করোনা সংক্রামন ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আগেই পুরো সোনারগাঁকে লকডাউনের আওতায় আনতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমীপে আহবান রেখেছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বিগত ১৮ মার্চ থেকেই আমি সোনারগাঁয়ের প্রতিটি এলাকা সকাল থেকে রাত প্রায় ২টা অবধি চষে বেড়িয়েছি। সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ, বার বার মাইকিংসহ সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করার পরেও দেখতে পাচ্ছি অনেকে বাইরে বের হন। সোনারগাঁয়ের জনপ্রতিনিধি, সোনারগাঁয়ে নিয়োজিত সেনা বাহিনী, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, সাংবাদিকসহ সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিভিন্ন উপায়ে মানুষদেরকে বুঝানোর পরও অনেক এলাকাতে এখনো লোকজন জড়ো হয়। এছাড়াও বর্তমাণে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী খোলা নিয়ে সোনারগাঁয়ে অসংখ্য নতুন মানুষের আগমণে আমরা সোনারগাঁবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। সোনারগাঁয়ে ক্রমশ করোনা ছড়িয়ে পড়ার আগেই এটাকে রোধ করার লক্ষ্যে যতদ্রুত সম্ভব পুরো সোনারগাঁকে লকডাউনের আওতায় আনার জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমীপে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
সেই সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনকে আহবান করবো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সেনারাগাঁয়ের মানুষকে বাঁচাতে হলে পুরো সোনারগাঁকে লকডাউনের আওতায় আনতে হবে। ‘লকডাউন’ মানে ‘লকডাউন’। এর কোন ব্যতয় ঘটতে দেওয়া যাতে না হয়। কাউকে যেন ঘর থেকে বের হতে না দেওয়া হয়। আমি সোনারগাঁয়ে “করোনা সেন্ট্রাল মনিটরিং সেল” এবং ওয়ার্ড ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করেছি। এছাড়াও আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির শত শত নেতাকর্মী, স্বেচ্ছাসেবী, সামাজিক কর্মকান্ডে নিয়োজিতরা সক্রিয় আছেন। যে কেউ ফোন করলে আমরা তাদের বাড়িতে খাবার পৌছে দিব। এ সময়ে আমাদের কঠোর হওয়া ছাড়া কোন উপায় নাই। তাই অনতিবিলম্বে প্রশাসনকে বলবো কোনদিক না তাঁকিয়ে আপনারা কঠোর হোন। এখন বড় বিষয় পুরো সোনারগাঁকে রক্ষা করা। এজন্য যত কঠোর প্রয়োজন আপনারা হোন। আমরা আপনাদের পাশে আছি।’