সরকারি ত্রাণ এখনোও পায়নি জামপুরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের অসহায় মানুষ।
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকা।
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডে জনসংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। বর্তমানে করোনা মোকাবেলায় জনগণ তাদের কর্মস্থলে যেতে পারছেননা। অসহায় – দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষগুলো খুবই কষ্টের সাথে দিন যাপন করছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন ত্রাণ – সামগ্রী অসহায় মানুষের জন্য বরাদ্দ দিলেও সোনারগাঁওয়ের জামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের মানুষ এখনো সেই ত্রানের মুখ দেখেননি।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী জামপুর ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত ত্রানের পরিমাণ – ২৭-০৩-২০২০ এ ৬০ ব্যাগ পরিমাণ ত্রান সামগ্রী, ০২-০৪-২০২০ এ ৯০ ব্যাগ, ০৫-০৪-২০২০ এ ৩৫৬০ কেজি চাল ও ৯১৫০ টাকা ত্রাণ, ও ১১-০৪-২০২০ এ ৩৬৫০ কেজি চাল ও নগদ ১৮৩০০ টাকা।
উল্লেখ্য যে যতদিন পর্যন্ত দেশে এরকম পরিস্থিতি থাকবে ততদিন পর্যন্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনার ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে ও মানুষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায় এখনো জামপুর ইউনিয়ননের বেশিরভাগ জায়গায় ত্রাণ সহায়তা পৌছায়নি।
এ বিষয়ে উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব হামিম শিকদার শিপলুর সাথে মুটো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
তারপর উক্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড প্রতিনিধিদের সাথে মুটো ফোনে যোগাযোগ করলে তারা জানান ৩,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে আংশিক ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
অন্যান্য ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বললে তারা সরকারি ত্রাণ বিতরণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে পারেননি।
বিভিন্ন ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিগন জানান কবে নাগাদ তারা তাদের ওয়ার্ডের ত্রাণ বিতরণ করবে তা তারা সঠিক জানেনা।
তারা কতটুকু সরকারি বরাদ্দ পেয়েছেন এই বিষয়েও তারা নাকি জানেননা।
তারা আরও বলেছেন ত্রাণের পরিমাণ কতটুকু আর কবে নাগাদ তাদের ওয়ার্ডবাসী পাবেন সেই বিষয়ে চেয়ারম্যান সাহেব তাদের সাথে কোনো আলোচনা করেননি বা তাদের এই বিষয়েও কোনো তথ্য দেননি।
তাদের কাছে জানতে চাইলে যে কিসের তথ্যের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান সাহেব আপনাদের ওয়ার্ডে ত্রাণ বিতরণ করবে, তখন তারা সবাই একই জবাব দেন যে তারা তাদের ওয়ার্ডের কিছু হত- দরিদ্র মানুষের আইডি কার্ড এর তথ্য চেয়ারম্যান সাহেবকে দিয়েছেন। এখন চেয়ারম্যান সাহেব কিভাবে, কখন আর কতটুকু ত্রাণ বিতরণ করবে এই বিষয়ে চেয়ারম্যান সাহেব তাদের সাথে কোনো আলোচনা করেননি বলে জানান।
এ দিকে সাধারণ জনগণের অনেক অভিযোগ রয়েছে। এখনো তারা সরকারি ত্রাণ পাননি। কিছু কিছু জায়গায় নারায়ণগঞ্জ -৩ আসনের সংসদ সদস্য জনাব লিয়াকত হোসেন খোকা সাহেবের হটলাইনে যোগাযোগ করে ত্রাণ সহায়তা পাওয়ার তথ্য জানা যায়।
বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাধারণ জনগণ সরকারি নির্দেশনা মেনে কর্মসংস্থানে না গিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছে। তারা জানান সরকারি ত্রাণ না পেলে তারা কতদিন আর ঘরে থাকতে পারবে। ইতিমধ্যে অনেক পরিবার খুবই কষ্টের সাথে দিন যাপন করছে। এমতাবস্থায় তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন তিনি যেন সরকারি ত্রাণ সাধারণ জনগণ পর্যন্ত পৌছায় কিনা তার সঠিক তদারকি করেন।