এমন গৃহশিক্ষক হতে সাবধান,বাস্তবতা থেকে শিক্ষা নিন

এমন গৃহশিক্ষক হতে সাবধান,বাস্তবতা থেকে শিক্ষা নিন।

নিউজ ডেস্কঃ

শিক্ষকতা একটি মহৎ ও সম্মানীয় পেশা। আর এই পেশা কে পুজি করে কিছু লোক করে যাচ্ছে অপরাধ আমাদের সবার সামনে। আজ তেমনি একটি পরিচয় আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরবো।
আমরা অনেকেই হয়তো নিজ নিজ বাসা বাড়িতে গৃহ শিক্ষক রাখি। সে কতটা গ্রহনযোগ্য তা কি বিবেচনা করে দেখেছেন আপনারা?
রাজধানী ঢাকার মডেল টাউন উত্তরার IUBAT সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর এক্স স্টুডেন্ট রাহুল দেবনাথ অর্জুন ১০ নং সেক্টর সংলগ্ন বামনারটেক এলাকায় একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। সেখানে থাকা কালীন অবস্থায় তিনি বেশ কিছু ছাত্রীকে পড়াতেন। আমাদের তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি ২০১৭ সালে সিম্ফনি ভি ৮০ মডেলের ফোন ব্যাবহার করতেন এবং সেই ফোন থেকে প্রায় ৩/৪ জন ছাত্রীকে ফোনের মেসেজ অপশন থেকে সেক্সুয়ালি কথা বার্তা বলে হ্যারেসমেন্ট করেন। এক পর্যায়ে এক ছাত্রী তার অভিভাবক কে জানালে অভিভাবক তাকে বিদায় করে দেন। মান সম্মানের ভয়ে তিনি আইনি ব্যাবস্থা নেন নি। আবার মাইলস্টোন কলেজের ৮ম শ্রেনীর এক ছাত্রের কাছ থেকে জানা যায়, সে ৫ম শ্রেনীর শেষ দিকে রাহুলের কাছে পরতো। কিন্ত গাইড বই না আনার কারনে তাকে ভালো মতো পড়াতে পারতো না। সেই ছাত্রের ভাষ্যমতে,” আমি গাইড বই না নিয়ে আসলে স্যার আমাকে অংক করাতে পারতেন না।আর উনি আমার ভাইকেও অংক করাতেন উনার কাছে পড়ে আমার ভাই অংকে প্রথম পরীক্ষায় ফেল করেছিল। অংক উনি ভালো পারতেন না। উনার দেখানো নিয়মে অংক করেই ভাইয়া ফেল করেছে, ভাইয়া কে জিগাসা করে দেখেন। তারপর আম্মু উনাকে বললো আর পরাতে আসতে হবে না। উনি একই মাসের বেতন ২ বার আম্মুর থেকে নেয়। প্রথমে আম্মু উনাকে বেতন দিয়ে বিদায় করে দেন। এর কিছুদিন পরে আবার এসে বেতন দাবী করেন।আম্মু উনাকে যখন বললো বেতন দিয়ে দিয়েছে তখন উনি চিল্লা চিল্লি করেন। মানুষ চলে আসতে পারে উনার চিল্লা চিল্লিতে এই ভয়ে আম্মু উনাকে আবার বেতন দিয়ে বিদায় করেন।”
ছাত্রের মায়ের সাথে কথা বলে জানা যায়, উনি শুধু ছাত্রের মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়েই ক্ষ্রান্ত হন নি। কিছুদিন আগে রাস্তায় উনার হাসবেন্ডের সাথে দেখা হয়। তখন উনার হাসবেন্ড এলাকার কিছু বাড়ির মালিকদের সাথে দাড়িয়ে কথা বলছিলেন। সেখানে গিয়ে সে সবার সামনে বলে সে ৩ মাস আগে পড়ানো ছেড়ে দিয়েছে,এখনো বেতন পায় নি। তখন ভদ্রলোক তাকে তার সাথে বাসায় গিয়ে টাকা নিয়ে আসতে বললে সে সাথে সাথে আসে। তখন একই বেতন ৩য় বার চাইলে সেই ভদ্র মহিলা পুলিশ ডাকবেন বললে সে ওই স্থান দ্রুত প্রস্থান করে।

বাংলাদেশে এরকম শিক্ষিকের অভাব নেই। সকল অভিভাবক কে অবগতির জন্য জানানো হচ্ছে, আপনারা বাহিরের শিক্ষক দিয়ে না পড়িয়ে আপনার সন্তান যে স্কুলে পড়ছে সেখানকার শিক্ষক দিয়ে পড়ান।রাহুলের মতো নামধারী শিক্ষক মানুষকে শিক্ষা দেয় না।ছাত্র পড়ানোর নাম করে টাকা কামানো টাকে এরা ব্যাবসা হিসেবে নিয়েছে।
অগোচরে এরা ছাত্রীদের জন্য ও বিপদজনক।
আর কোনো স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ ধরনের ক্লেইম থাকলে তা অবশ্যই প্রতিষ্ঠানটির অধ্যাক্ষ কে জানাবেন।
এই হচ্ছে লোকটির ফেসবুক আইডি লিংকঃ
https://www.facebook.com/rahuldebnatharjun573

তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশ প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটরস এজেন্সী।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: Content is protected !!